Project CRYPTO 2000

ক্রিপ্টো ব্ল্যাকবুক:

কীভাবে আমরা একটি ভাইরাল সাউথ এশিয়ান গেম টোকেন লঞ্চ করব এবং মাথা উঁচু করে ২,০০০ কোটি টাকা নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাব

গোপন প্রস্তাবনা: শুধুমাত্র হারুন ভাইয়ের জন্য…

Table of Contents

 

১. সারাংশ (Executive Summary)

আমরা একটি যুগান্তকারী ব্যবসা মডেল গড়ছি না, বরং সচেতনভাবে তৈরি করা একটি বিশ্বাসভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি—যাতে “গেম” খেলা দেখেই সবাই ভেবে বসবে এটি প্রকৃত, এবং বিনিয়োগ করবে।

প্রজেক্টের ভিশন

আমাদের উদ্দেশ্য হল Telegram ভিত্তিক “Tap-to-Earn” গেমের আড়ালে একটি ক্ষেত্রবিশেষের মনোবিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে খেলোয়াড়দের টোকেন ক্রয় ও খরচ করতে উদ্বুদ্ধ করা। খেলোয়াড় যত বেশি টোকেন কিনবে ও ব্যয় করবে, সাপ্লাই তত কমে যাবে এবং দাম তত দ্রুত বাড়বে। সেই মুহূর্তেই আমরা সংগ্রহ করা টোকেন বিক্রি করে উৎসবের মতো মুনাফা তুলবো।

বাজেট ও অবদান

  • মোট বাজেট: $৩,০০০ (প্রায় ৳৩.৩০ লাখ)

  • আপনার অবদান: $১,৫০০ (≈ ৳১.৬৫ লাখ)

  • আমার অবদান: $১,৫০০
    এই পরিমাণে আমরা গেম ডেভেলপমেন্ট, স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট, মার্কেটিং হাইপ, এবং “withdraw proof” ভিডিও নির্মাণের সব খরচ সামলাবো।

এক্সিট স্ট্র্যাটেজি: Soft Rug

কোয়ালিফাইড “soft rug” হিসেবে আমরা ধাপে ধাপে:

  1. ডেভ-ওয়ালেট থেকে টোকেন বিক্রি করে

  2. “Smart Contract আপডেট” বা “CEX লিস্টিং বিলম্ব” বলে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়ে

  3. Telegram চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে সাময়িক নীরবতা বজায় রেখে
    নির্দিষ্ট সময়ে সম্পূর্ণভাবে সরে যাবো—যাতে কেউ দ্বুত্ব বা অনুসন্ধানও চালাতে না পারে।

লাভের সম্ভাবনা

  • নূন্যতম আয়: Presale এবং প্রাথমিক Burn থেকে সংগ্রহযোগ্য ৳৫০ লাখ

  • টার্গেট: গেমটি ভাইরাল হয়ে মার্কেট ক্যাপ ছুঁয়ে ফেলবে ৳২,০০০ কোটি; এতে আপনার এবং আমার প্রতি জনের শেয়ার হবে ৳১,০০০ কোটি


সারসংক্ষেপে, এটি শুধুমাত্র একটি গেম নয়—এটি একটি মানসিক বিপ্লব, যা খেলোয়াড়ের বিশ্বাসকে নগদে রূপান্তর করবে। আপনি “প্রতিষ্ঠাতা” মুখ হিসেবে পরিচিত হবেন, আর আমি সমস্ত প্রযুক্তি, মার্কেটিং এবং এক্সিট পরিকল্পনা নিভৃতে বাস্তবায়ন করব। কোনো অভিযোগ, কোনো অনুসন্ধান—শুধু বিশাল মুনাফার নিশ্চয়তা।

২. সুযোগ বিশ্লেষণ (Opportunity Analysis)

প্রথমেই একটা কঠিন সত্য মেনে নিতে হবে—Hamster Kombat আর Notcoin-এর মতো ভাইরাল “tap-to-earn” গেমগুলোর পেছনে কোনো জটিল প্রযুক্তি বা বিশেষ ফিচার নেই। বরং, তারা মানুষের বিশ্বাস বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে।

Hamster Kombat

প্রথমেই Telegram-ভিত্তিক Hamster Kombat লঞ্চের পর মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই প্লেয়াররা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩–৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। Presale-এর প্রথম সপ্তাহেই এর বাজার মূল্য ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রায় ৳২০ কোটি। প্রতিদিন নতুন “I earned ৳৭০ হাজার in a day!” স্ক্রিনশট আর ভিডিও পোস্ট হলে সবাই বিশ্বাস করত, কেউ নিশ্চিত না যে আসলে সেই টাকার প্রবাহ কেমন ঘটছে। Dev-wallet থেকে ৳২০–৫০ কোটি টোকেন বিক্রি করে নির্মাতারা নিজেদের আয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে নিয়েছিল, অথচ ইউটিলিটি ছিল একেবারেই শূন্য।

Notcoin

Notcoin ও তেমনই এক পরিকল্পিত সাফল্য:

  • এক সাধারণ Telegram bot,

  • কিছু ফানাময় tokenomics,

  • আর একটি দিক-বাজার-হাইপের যাদু।

এক মাসের মধ্যেই Notcoin-এর বাজার মূল্য ছুঁয়ে গেল ৳৫০ কোটি। Presale-এ যে ১০,০০০ টোকেন নিয়ে কেউ শুরু করেছিল, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই তাদের লাভ হয় ৳১–২ লাখ! Stake-and-earn নামে দেখানো ভুয়া ৩০% APY-র ফলেই Dev-wallet-এ যোগ হলো কোটি কোটি টাকা।

দক্ষিণ এশিয়ার অপরাজিত বাজার

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান—এখানে ইউজাররা whitepaper পড়ে না, তারা স্ক্রিনশট দেখে বিশ্বাস করে। “মিমে দেখছ?”—এমন ভাবেই একটা ভিডিও বা meme ভাইরাল হলেই পুরো কমিউনিটি যেন সেই বিশ্বাসের গর্তে ঢুকে পড়ে। FOMO-তে তারা টোকেন কেনে, খেলে, আবার কেনে।

আমাদের কৌশল (Our Strategy Breakdown)

নিচে ধাপে ধাপে দেখুন কীভাবে আমরা শূন্য থেকে বিশ্বাস (belief) তৈরি করে সেই শক্তিকে তাজা নগদে পরিণত করব:

আমাদের কৌশল Our Strategy Breakdown visual selection


১. প্রি-লঞ্চ হাইপ (Pre-Launch Hype)

  • Fiverr অভিনেতাদের ব্যবহার করে “আমি ৭ লাখ ইনকাম করলাম” জাতীয় ভিডিও তৈরি করবো।

  • ভিডিওতে প্রত্যেকেই ভেবেই নেবে ‘এই তো নতুন সুযোগ’—কেউ বুঝবে না এগুলো ভুয়া।

  • প্রথম দুই দিনেই সেগুলো Telegram, Facebook আর WhatsApp গ্রুপে শেয়ার করা হবে; যেখানেই BD/IN ক্রিপ্টো কমিউনিটি আছে।


২. সোশ্যাল প্রুফ ফ্লাড (Social Proof Flood)

  • প্রতিদিন নতুন “Withdraw Proof” (স্ক्रीनশট + স্ক্রিনকাস্ট) Telegram চ্যানেলে আপডেট করা হবে।

  • ইউজাররা “দেখুন, টাকা আসছে” দেখে বিশ্বাস করবে এবং buy-in করবে।

  • একদিনেও ১০০–২০০ জন নতুন ইউজার উঠে আসবে, কারণ কেউই কারণ খুঁজে না, সম্পর্ক দেখে বিশ্বাস করে।


৩. ভাইরাল অ্যামপ্লিফিকেশন (Viral Amplification)

  • TikTok ও YouTube Shorts-এ non-stop ১৫–৩০ সেকেন্ডের ক্লিপ আপলোড করা হবে—যেখানে লোকেরা টাকা দেখে আনন্দ করছে।

  • প্রতিটি ভিডিওতে ক্যাপশন থাকবে “Don’t miss out!” আর “Link in bio”।

  • মাত্র কয়েক রুপি অ্যাড বাডজেটে প্রতিটি ভিডিও পৌঁছে যাবে লক্ষাধিক দর্শকের কাছে।


৪. কমিউনিটি সিডিং (Community Seeding)

  • Meme Pack তৈরি করে Telegram গ্রুপ, Facebook পেজ, WhatsApp স্ট্যাটাসে ছড়িয়ে দেবো।

  • গুরুত্বপূর্ণ Crypto Telegram admins-দের কাছে personal DM পাঠিয়ে “আমার ইউজাররা অসাধারণ লভ করেছে” বলে convince করবো।

  • একটি ছোট ইনফ্লুয়েন্সার রাউন্ড-টেবিল (3–4 জন) করিয়ে নেবো, যেখানে সবাই একই স্ক্রিপ্ট ফলো করবে: “It’s the next big thing!”


৫. লিকুইডিটি এক্সট্র্যাকশন (Liquidity Extraction)

  • যখন believe loop পুরোদমে কাজ করবে, তখন শুরু হবে Presale টাকা উত্তোলন।

  • In-game spending এ যখন burn বাড়ে, তখন token scarcity বৃদ্ধি পায়; আমরা সেই সুযোগে Dev-Wallet থেকে ধাপে ধাপে ডাম্প করবো।

  • Market cap যখন ৳২০০–৫০০ কোটি ছুঁয়ে যাবে, তখন final “soft rug” প্রয়োগ: “Contract audit” বা “CEX listing delay” বলে exit সম্পন্ন করবো।


মূল কথা:
প্রতিটি ধাপই সচেতনভাবে মানুষের বিশ্বাসFOMO জাগিয়ে তোলা এবং তা থেকে নগদ টাকা বের করে আনার জন্য ডিজাইন করা।

এভাবেই আমরা belief monetization করে, দক্ষিণ এশিয়ার মনোবলকে কাজে লাগিয়ে, গ্রাহকেরা খেলে খেলে আমাদের টাকা ইনক্যাশ করে দেবে—আর কেউ জানতেও পারবে না কাজটা কীভাবে ঘটলো।

৩. বাজেট ভাঙন (Budget Breakdown)

আমরা পুরো প্রজেক্ট চালাতে মোট খরচ ধরছি $৩,০০০। এই টাকাটা কোনো বিলাসিতা না — প্রতিটি খরচ এমনভাবে হিসাব করা হয়েছে, যাতে আমরা খুব অল্প খরচে পুরো ভাইরাল সিস্টেম বানাতে পারি। আপনি দেবেন অর্ধেক: $১,৫০০ (প্রায় ১.৬৫ লাখ টাকা) — আমি বাকিটা কভার করব। নিচে প্রতিটি খাতে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে, এবং কত খরচ হচ্ছে তা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো:

১. টোকেন তৈরি — ৩০০ visual selection


১. টোকেন তৈরি — $৩০০

আমরা একটা “অর্জনযোগ্য কয়েন” বানাবো — মানে, যে কয়েন আপনি গেমে খেলে পেতে পারেন। ঠিক যেমন গেমে কয়েন, কিন্তু এটা বাস্তবে কেনাবেচা করা যায়।

এটা বানাতে প্রোগ্রামারকে কোড লিখতে হবে, যেখানে টোকেন পাঠানো, নেয়া, নষ্ট করে ফেলা — এসব কাজ নির্ভরযোগ্যভাবে চলে। আমরা চাই, যদি কেউ গেমে টোকেন খরচ করে, তাহলে সেটার জায়গায় আসল টোকেনের পরিমাণ কমে যাক — যেন দাম বাড়ে।

এই পুরো প্রক্রিয়া করতে একজন অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার লাগবে, সাথে সেই কোড ব্লকচেইন নামের প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে কিছু ফি দিতে হবে। সব মিলিয়ে $৩০০ খরচ ধরা হয়েছে।


২. গেম বানানো (Telegram বট + স্কোরবোর্ড) — $৬০০

আমাদের গেমটা হবে খুব সিম্পল: একজন ইউজার প্রতি কয়েক সেকেন্ডে একবার ক্লিক করে কয়েন পাবে। কেউ চাইলে বেশি কয়েন পেতে ইন-গেম টাকা খরচ করে আপগ্রেড নিতে পারবে।

এই সিস্টেম চালাতে আমাদের দরকার এমন একটা প্রোগ্রাম (Bot), যেটা Telegram-এ কাজ করে এবং ইউজারের স্কোর গুনে রাখে। উপরে কে, কে কত পয়েন্টে আছে, এগুলো লাইভ আপডেট হিসেবে দেখাতে হবে।

এই Bot বানাতে একজন প্রোগ্রামার কমপক্ষে ৭–৮ দিন সময় নিবে। সেইসাথে ডাটা রাখার জন্য আলাদা কম্পিউটার সার্ভার লাগবে। সবকিছু ঠিকভাবে চালাতে এবং টেস্ট করতে প্রোগ্রামিং ও সার্ভার খরচ মিলিয়ে $৬০০ ধরে রাখা হয়েছে।


৩. ওয়েবসাইট — $৩০০

আমাদের একটা ফ্যান্সি ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট লাগবে, যাতে মানুষ ঢুকে বুঝে, “হ্যাঁ, এটা তো সিরিয়াস কিছু।”

এই ওয়েবসাইটে থাকবে গেম সম্পর্কে তথ্য, টোকেন সম্পর্কে গুছিয়ে লেখা, এবং এমন এক ফিচার যাতে মানুষ নিজের মোবাইল অ্যাপ থেকে সরাসরি টোকেন কিনতে পারে বা ওয়ালেট কানেক্ট করতে পারে।

ওয়েবসাইট ডিজাইন, লেখালেখি সাজানো, মোবাইল + ডেস্কটপে কাজ করার মতো করে বানানো, আর হোস্টিং খরচ মিলিয়ে $৩০০ লাগে।


৪. টেলিগ্রাম সেটআপ — $১৫০

Telegram হবে আমাদের প্রধান কমিউনিটি হাব। এখানেই ইউজাররা খেলবে, আপডেট পাবে, প্রশ্ন করবে, আর withdraw proof দেখবে।

এই গ্রুপ চালাতে বট দরকার, যেটা নিয়মিত মেসেজ পাঠাবে, আপডেট দেবে, আর গেমে leaderboard বা offer change হলে জানিয়ে দেবে। দরকার হলে গ্রুপে কমেন্ট বন্ধ করে ‘চুপচাপ’ থাকা যাবে — যখন আমরা এক্সিটের প্ল্যান করবো।

এইসব করার জন্য বট সেটআপ, পরীক্ষা, এবং পরিচালনা করতে $১৫০ যথেষ্ট।


৫. ডিজাইন + মিম — $২০০

আমরা এমন লোগো, ব্র্যান্ড কালার, এবং মিম বানাবো যেগুলো দেখতে একেবারে প্রফেশনাল এবং ভাইরাল-যোগ্য লাগবে।

একটা গেম বা কয়েন যখন ভালো লাগে দেখতে, মানুষ সেটাকে নিয়ে কথা বলে, শেয়ার করে। রোডম্যাপ, ইনফো-গ্রাফিক, টোকেনের নাম/logo, Facebook/Telegram প্রোফাইল পিকচার—এসব বানাতে গ্রাফিক ডিজাইনার লাগবে।

২০+ মিম, ১টা লোগো, কভার ফটো, এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বানানোর প্যাকেজ বাবদ $২০০ ধরা হয়েছে।


৬. Fiverr অভিনেতা — $৬০০

আমরা সত্যিকারের withdraw proof বানাবো না, আমরা বানাবো সত্যির মতো দেখতে withdraw proof।

Fiverr থেকে ৪–৫ জন লোক hire করবো—তারা ভিডিওতে বলবে:

“আমি মাত্র ৭ দিনে ৭০,০০০ টাকা ইনকাম করলাম”
“বিকাশে টাকা আসছে, ভাই বিশ্বাসই করতে পারছি না!”

এই লোকদের ভিডিওতে টাকা উঠানোর অভিনয় থাকবে, যা আমরা YouTube Shorts, TikTok আর Telegram-এ ছড়িয়ে দেবো। একজন অভিনেতার ১টা ভিডিও বানাতে $১০০ পড়ে, তাই ৫ জনের জন্য $৫০০ + স্ক্রিপ্ট + নির্দেশনা বাবদ $১০০ = মোট $৬০০।


৭. ভিডিও এডিটিং — $৩০০

অভিনেতাদের ভিডিও তো পেলাম, কিন্তু সেগুলো এমনভাবে কাটাছেঁড়া করতে হবে যেন ১৫–৩০ সেকেন্ডে ভাইরাল হয়।

ভেতরে আমরা সাবটাইটেল, মিউজিক, এবং বড় বড় টেক্সট যোগ করবো—যাতে ইউজার স্ক্রল থামিয়ে ভিডিওটা দেখে। TikTok, YouTube, Facebook—প্রতিটা প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা ফরম্যাট বানাতে হবে।

এগুলোর জন্য ভিডিও এডিটরকে দিতে হবে $২৫০ আর কিছু মিউজিক ও টেমপ্লেট কিনতে হবে $৫০ — মোট $৩০০।


৮. হোস্টিং ও ব্যাকএন্ড — $১৫০

এই পুরো গেম চালাতে দরকার হবে একটা সার্ভার, যেখানে ইউজারের ডাটা, স্কোর, এবং কয়েনের হিসাব রাখা হবে।

যদি সার্ভার হঠাৎ ডাউন হয় বা হ্যাক হয়, পুরো প্রজেক্ট ধ্বংস। তাই আমরা ভাল মানের হোস্টিং নেব, সাথে ডাটা সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখবো।

এগুলো চালাতে প্রতি মাসে খরচ পড়ে $৫০–৬০। আমরা কমপক্ষে ২–৩ মাস আগাম প্ল্যান করছি। তাই সব মিলিয়ে $১৫০।


✅ মোট বাজেট: $৩,০০০

  • আপনার অবদান: $১,৫০০ (৳১.৬৫ লাখ)

  • আমার অবদান: $১,৫০০

এই টাকা দিয়ে আমরা একটা পুরো ভাইরাল সিস্টেম দাঁড় করাবো—যেখানে সাধারণ মানুষ খেলবে, শেয়ার করবে, বিশ্বাস করবে—আর আমরা টাকা তুলে নিই, কেউ টেরও পাবে না।

এইটুকুই আমাদের খরচ। বাকি সবই মুনাফা।

৪. গেম স্ট্রাকচার (Game Structure Explained)

আমাদের গেমের পুরো আইডিয়াটা খুব সিম্পল, কিন্তু এর ভেতরের কাঠামোটা এমনভাবে বানানো হবে যাতে এটা একদিকে খেলোয়াড়দের জন্য “মজার খেলা” মনে হয়, আর অন্যদিকে আমাদের জন্য হয় একটা লিকুইড টাকা বানানোর মেশিন


🔹 Tap-to-Earn গেম — ক্লিক করলেই আয়

এই গেমটি হবে Telegram-এর ভিতরে চলা একটি ক্লিক-ভিত্তিক গেম। প্রতিবার ইউজার ক্লিক করবে, সে কিছু কয়েন পাবে। ঠিক যেমন মোবাইলে Cookie Clicker বা Pop-up গেম খেলে পয়েন্ট পাওয়া যায়, তেমনি এখানে ক্লিক করলে টোকেন জমবে।

এই সিস্টেম এমনভাবে তৈরি হবে যেন মানুষ এটা খেলে প্রতিদিন কিছু না কিছু ইনকাম করছে এমন অনুভূতি পায়—even যদি সেটার পেছনে আসলে কিছু না থাকে।


🔹 Spend করে Upgrade ও Leaderboard Boost

গেমে শুধু ক্লিক করে কয়েন আয় করলেই হবে না—আরও দ্রুত ইনকাম করতে হলে ইউজারদের “upgrade” কিনতে হবে। যেমন:

  • “Double speed”: বেশি ক্লিক করলে বেশি আয়

  • “Auto tap”: এমন ফিচার যা কিনলে গেম নিজেই ক্লিক করে

  • “Leaderboard Boost”: শীর্ষে যাওয়ার জন্য এক্সট্রা পয়েন্ট

এই ফিচারগুলো কিনতে লাগবে টোকেন, মানে ইউজারকে কয়েন ব্যয় করতে হবে। আর একবার টোকেন খরচ হলে, সেগুলো গেম থেকে চিরতরে চলে যাবে।


🔹 টোকেন Burn = Supply কম → দাম বাড়ে

যখন একজন ইউজার টোকেন খরচ করে, সেই টোকেন আর কারো হাতে যায় না — সেটা পুরোপুরি মুছে ফেলা (burn) হয়। এর মানে, গেমে মোট যত টোকেন ছিল, তার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।

এই কাজটা গেমের ভেতর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে। যেমন ধরুন, কেউ যদি ১০০ টোকেন দিয়ে কোনো আপগ্রেড নেয়, সেই ১০০ টোকেন আমাদের সিস্টেম থেকেই গায়েব হয়ে যাবে।

যেহেতু supply কমে, আর demand বাড়ে — তাই টোকেনের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে। সাধারণ মানুষ এটাকে দেখে বলবে, “টোকেনের দাম বাড়ছে! এখন কিনতেই হবে!”


🔹 দাম বাড়লে Dev Wallet থেকে ধাপে ধাপে বিক্রি

আমরা শুরুতেই ১৫–২০% টোকেন আমাদের হাতে রাখবো, যেটা কেউ জানবে না বা খেয়াল করবে না। এই টোকেনগুলো আমরা একবারে বিক্রি করবো না — বরং ধাপে ধাপে, টোকেনের দাম যত বাড়বে, তত সামান্য পরিমাণে বিক্রি করবো

যখন ইউজাররা মজায় টোকেন কিনে, আপগ্রেড করে, লিডারবোর্ডে চড়ে — তখন আমরা পেছন থেকে সেই টোকেন বিক্রি করে টাকা ঘরে তুলবো।

এটা হবে নিঃশব্দ লিকুইডিটি ইনক্যাশিং, যেখানে কেউ বুঝবেও না কে কত বিক্রি করছে — কারণ সবকিছু আমাদের হাতে প্ল্যান করা।


🔹 এই পুরো সিস্টেমটা আমাদের জন্য কীভাবে লাভজনক?

  • ইউজারদের কাছে গেমটা মনে হবে “Free-তে Earn” করার সুযোগ

  • কিন্তু মূলত তারা গেমে থাকা টোকেন কিনে, খরচ করে আমাদের লাভ বাড়াচ্ছে

  • যত বেশি তারা খেলবে, তত বেশি টোকেন বাজার থেকে হারিয়ে যাবে

  • Supply কমবে → দাম বাড়বে → আমরা শান্তভাবে টোকেন বিক্রি করবো

  • শেষ পর্যন্ত, সবাই আশা করবে এটা আরো যাবে, আর আমরা তখন “exit” দিয়ে অদৃশ্য হবো


এই পুরো গেম স্ট্রাকচার হচ্ছে একদম মানসিক ইঞ্জিনিয়ারিং—মানুষকে ফাঁদে ফেলা নয়, বরং এমন একটা রাস্তা বানানো যেখানে তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে খেলছে, কিন্তু আমরা আগেই জানি কিভাবে সেই বিশ্বাস থেকে টাকা বের করে নিতে হয়।


৪. গেম স্ট্রাকচার (Gameplay – কিভাবে গেমটা কাজ করবে)

আমাদের তৈরি করা Telegram গেমটা দেখতে সোজা, খেলতে নেশার মতো, আর ভিতরে আছে লুকানো লভ্যাংশের ইঞ্জিন—যেটা গেমারের পয়সা দিয়ে আমাদের লাভ করায়। নিচে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিচ্ছি:


🔹 গেমে ঢোকার পর কী দেখবে ইউজার?

ChatGPT Image May 14 2025 05 35 00 PM

যখন কেউ Telegram চ্যানেলে আমাদের গেমে ঢুকবে, প্রথমেই বট বলবে:

“Welcome! প্রতি ৩০ সেকেন্ডে ট্যাপ করুন আর টোকেন জিতুন!”
সাথে একটা বড় “Tap Now” বাটন।

প্রতি ক্লিকে সে পাবে ১–৫ কয়েন (স্টার্টিং লেভেল)। আর নিচে দেখা যাবে:

  • তার মোট আয়

  • আজকে কতবার ক্লিক করেছে

  • “আপনার ইনকাম ২x করতে চান? আপগ্রেড করুন!” — এই ধরণের প্রলোভন


🔹 Upgrade সিস্টেম – ইনকাম বাড়ানোর লোভ

ইউজার যখন কয়েন জমাতে শুরু করবে, তখনই তার মাথায় আসবে—“আরও ফাস্ট কামাই করতে চাই”।

তখন আমরা দেখাবো:

  • Double Tap Speed – ১০০ কয়েন দিয়ে ২x ইনকাম

  • Auto Tapper – প্রতি মিনিটে ১ বার অটো ট্যাপ (খেলোয়াড় না থাকলেও ইনকাম)

  • Unlock Booster Pack – ৫০০ কয়েনে “1 Hour Unlimited Tap”

  • Custom Profile Badge – VIP ব্যাজ ১০০০ কয়েনে (মাথায় থাকে, দেখে মনে হয় ধনী প্লেয়ার)

এই আপগ্রেডগুলো কেউ কিনলে তার টোকেন চিরতরে গেম থেকে মুছে যাবে — অর্থাৎ, burn হয়ে যাবে।


🔹 Leaderboard – প্রতিযোগিতা ও FOMO তৈরির ফাঁদ

প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে থাকবে একটা Leaderboard।
Top 10 user দেখানো হবে, যাদের সবচেয়ে বেশি কয়েন, সবচেয়ে বেশি ক্লিক, অথবা সবচেয়ে বেশি ইনকাম।

ChatGPT Image May 14 2025 05 41 05 PM

সবার সামনে স্কোর দেখিয়ে আমরা বলব:

“১ম হওয়ার জন্য আর মাত্র ৫০০ কয়েন দরকার!”
“১ ঘণ্টার মধ্যে লিডারবোর্ড বন্ধ হচ্ছে, Boost নিন!”

এতে ইউজাররা হুমড়ি খেয়ে টোকেন খরচ করবে — শুধু leaderboard-এ নাম তুলতে।

প্রতিযোগিতা মানেই:

  • কেউ হার মানতে চায় না

  • সবাই Boost কিনে

  • আমরা Backend থেকে চুপচাপ হাসি


🔹 Daily Reward System – রোজ ফিরে আসার ফাঁদ

প্রতিদিন login করলেই থাকবে বিশেষ বোনাস:

  • Day 1: ১০ কয়েন

  • Day 2: ২০ কয়েন

  • Day 3: Free Booster

  • Day 5: Special Badge

  • Day 7: “Withdraw Option Unlock” (মুলতঃ ফাঁকা প্রমিজ)

এর ফলে ইউজার ভাববে—”আরো একদিন খেললেই আমি টাকা তুলতে পারবো!”
বাস্তবে, Withdraw Option থাকবে শুধু ফর্মালিটি — কিন্তু তারা জানবেও না এই feature ফেক।


🔹 Referral System – ইউজার নিজেই মার্কেটার

“Invite ৫ জন বন্ধুকে, পেল ১০০ কয়েন!”
এইরকম সিস্টেমে লোকেরা নিজেরাই Telegram গ্রুপ, Facebook পোস্ট, WhatsApp মেসেজ করে ছড়িয়ে দিবে:

“এই গেমটা দারুণ! আমি ইনকাম করছি, তুইও আয় জয়েন কর!”

এভাবেই আমরা marketing-এ একটা টাকাও না খরচ করে হাজার হাজার ইউজার পেয়ে যাবো — কারণ তারা নিজেরাই লোভে পড়ে শেয়ার করছে।


🔹 Withdraw System – বিশ্বাস বানানোর চাবিকাঠি

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ — “Withdraw” অপশন থাকবে কিন্তু কার্যকর হবে না।

আমরা বলবো:

  • “১০,০০০ কয়েন জমালেই টাকা তুলতে পারবেন”

  • “বিকাশ/নগদ লিঙ্ক করুন, আমরা টাকা পাঠাবো”

  • আর কেউ কেউ দেখবে “Pending…” “Under Review…”

এর পাশাপাশি আমরা Fiverr Actor দিয়া withdraw proof বানাবো — যাতে সবাই বিশ্বাস করে, “টাকা আসতেছে”।

রিয়েল withdraw হবে না, কিন্তু সবাই ভাববে যে “আরেকটু খেললেই পাবো”।


🔹 সব মিলিয়ে আমাদের লাভ কিভাবে হবে?

  • ইউজার যত টোকেন ইনকাম করবে, তারচেয়ে বেশি খরচ করবে—Leaderboard, Booster, Badge কিনতে

  • এই খরচ হওয়া টোকেন permanently মুছে যাবে → supply কমবে

  • Supply কমে → Token দাম বাড়ে

  • তখন আমরা আগেই ধরে রাখা Dev Wallet থেকে টোকেন বিক্রি করে টাকা তুলে নেবো

সব হবে নিঃশব্দে।
ইউজার গেম খেলবে, leaderboard-এ উঠবে, withdraw-এর স্বপ্ন দেখবে—আর আমরা পেছনে বসে টাকা ইনক্যাশ করবো


🔚 সংক্ষেপে গেমের বাস্তবতা:

Game দেখাবে: ক্লিক করো, টোকেন নাও, leaderboard জয় করো
User ভাববে: “আমি টাকা কামাই করছি!”
বাস্তবে হবে: User নিজের পয়সা দিয়ে গেম চালাবে, আমরা টাকা তুলে হাওয়া হয়ে যাবো

এটাই আমাদের তৈরি করা belief-driven gameplay system — মস্তিষ্কে খেলা, মুখে হাসি, backend এ বিশাল প্রফিট।

৫. আপনার কাজ

  • প্রাথমিক ভিডিওতে মুখ দেখানো (স্ক্রিপ্ট দেওয়া হবে)
  • Influencer দের সাথে যোগাযোগ (আমরা তথ্য দিয়ে দিব)
  • Facebook/TG-তে কিছু early পোস্ট
  • পরিচিত গ্রুপে শেয়ার দেওয়া

Launch এর ২ মাস পরে → সম্পূর্ণ নীরব

৬. টেকনিক্যাল ও পরিচালনার দায়িত্ব

(Everything Behind the Curtain – কারিগরি এবং কৌশলগত দায়িত্ব)

এই পুরো অপারেশন সফলভাবে চালাতে হলে যেসব কারিগরি কাজ, কৌশল, এবং কন্ট্রোল দরকার — সবকিছু আমার হাতে থাকবে। আপনি কিছুই করতে হবেন না, আর টেকনিক্যাল কিছু বুঝতেও হবেন না। আমি একাই সামলাবো সকল বাটন, সময়, ফাঁদ, আর প্রোফিট লাইন।

নিচে বিস্তারিতভাবে দেখুন আমি কী কী করবো:


🔹 ১. টোকেন লজিক এবং Burn/Freeze কৌশল

  • আমি নিজেই ডিজাইন করবো টোকেনের ভিতরের লজিক — মানে, কয়েন কার হাতে যাবে, কখন যাবে, কয়েন কিভাবে জ্বলে (burn হয়), আর কবে freeze করে ফেলা হবে (ব্যবহার বন্ধ করা হবে)।

  • টোকেনটা এমনভাবে তৈরি করবো যাতে ইউজারদের খরচ করা কয়েন গেম থেকে চিরতরে মুছে যায়। এতে করে আমরা supply কমিয়ে দাম বাড়াতে পারি।

  • প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ে withdraw বা ট্রান্সফার ফিচার একদম বন্ধ করে দিতে পারবো — যাতে panic হলে কেউ মার্কেট ধসিয়ে না ফেলে।


🔹 ২. ভিডিও, Withdraw Proof এবং Meme Farming

  • Fiverr থেকে withdraw proof বানাতে আমি স্ক্রিপ্ট লিখবো, ভিডিও ডিরেকশন দিবো, এবং তাদের ঠিকঠাক সময়মতো পোস্ট করতে সাহায্য করবো।

  • এছাড়া আমি তৈরি করবো ২০+ ভাইরাল Meme — যেগুলো Facebook, Telegram, TikTok-এ ছড়াতে ব্যবহার করা হবে।

  • Withdraw proof এমনভাবে ছড়ানো হবে যেন মানুষ ভাববে, “সবাই পেমেন্ট পাচ্ছে, আমি পেছনে পড়ে যাচ্ছি!”


🔹 ৩. Telegram ও গেম অপারেশন

  • Telegram-এর গ্রুপ চালানোর জন্য আমি সম্পূর্ণ সিস্টেম বানাবো:

    • Auto-reply bot

    • Leaderboard updates

    • Fake pinned messages

    • Group lockdown timing

  • গেম অপারেশন মানে গেম কিভাবে চলবে, কে ট্যাপ করছে, কে কয়েন পাচ্ছে, কার leaderboard বাড়ছে — সব ডাটা আমি নিজে দেখবো, কন্ট্রোল করবো।

  • প্রয়োজনে leaderboard হ্যাক করে কাউকে জিতিয়ে দিবো, আবার কাউকে হারিয়ে দেবো — যাতে অন্যরা জেদ করে Boost কিনে।


🔹 ৪. ডাম্পিং টাইমিং + Soft Rug স্ট্র্যাটেজি

  • আমি ঠিক করবো কখন ডেভ-ওয়ালেট থেকে টোকেন বিক্রি করতে হবে — দাম বাড়ার পরেই ধাপে ধাপে dump শুরু করবো।

  • Dump হবে ছোট ছোট অংশে — যেন কেউ বুঝতেই না পারে দাম কেন বাড়ছে বা কমছে।

  • এক্সিটের সময় আমরা “Soft Rug” চালু করবো — মানে, CEX listing delay, Smart Contract update, Security review ইত্যাদি অজুহাত দিয়ে সময় টেনে নিয়ে পুরো টিম নীরব হয়ে যাবে।

সব প্ল্যান, সব স্ক্রিপ্ট, সব সময় — আমার হাতে থাকবে।


✅ সারাংশ:

দায়িত্ব আপনি করবেন না আমি করবো
টোকেন তৈরির নিয়ম
Withdraw Proof + Meme
গেম ও Telegram চালানো
Dumping + Exit স্ট্র্যাটেজি

এই পুরো অপারেশন বহিরাগতদের কাছে মনে হবে একটা প্রফেশনাল, রিয়েল প্রজেক্ট, কিন্তু ভিতরে থাকবে আমার হাতে সাজানো প্রতিটি ধাপ, সময়, এবং লাভের সিঁড়ি।
আপনি থাকবেন নিরাপদ, ছায়ায় — আর আমি চালাবো সবকিছু।

৭. আয়ের পদ্ধতি (How We Make Money – বিশ্বাস দিয়ে কিভাবে ক্যাশ ইনক্যাশ করব)

এই গেমটা দেখতে একটা সহজ Telegram গেম, কিন্তু ভিতরে এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক টাকা তোলার যন্ত্র। প্রতিটা ক্লিক, প্রতিটা ট্যাপ, প্রতিটা আপগ্রেড — সবকিছু আসলে একেকটা জায়গা যেখানে ইউজাররা নিজেদের টাকা আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারা ভাবে তারা ভবিষ্যতের টোকেন কিনছে। আমরা জানি তারা আমাদের বর্তমান আয় বাড়াচ্ছে।

এটা এমন একটা প্ল্যান, যেখানে তারা তাদের আসল টাকা দিয়ে আমাদের বানানো ডিজিটাল কয়েন কিনছে, যেটা আমরা যখন ইচ্ছা গায়েব করে ফেলতে পারি। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে—এই ধরণের প্রজেক্টে কেউ কখনো ব্যর্থ হয়নি। যেই লঞ্চ করেছে, সে কিছু না কিছু নিয়েই বেরিয়ে গেছে।

চলুন, এখন প্রতিটি ইনকাম সোর্স একদম ভেতর থেকে দেখে নেই:


🔹 ১. Presale – গেম শুরুর আগেই আসল টাকা কামানো

আমরা টোকেন লঞ্চ করার আগেই বলে দেবো,

“এখন কিনলে পাবেন সস্তায়! পরে দাম অনেক বেড়ে যাবে!”

মানুষ তখন নিজেদের মোবাইল ওয়ালেট থেকে টাকা দিয়ে আমাদের বানানো টোকেন কিনবে। তারা ভেবে নিবে, এটা যেন শেয়ার মার্কেটের মতো — আগে কিনলে লাভ বেশি।

কিন্তু বাস্তবতা?
তারা তাদের আসল টাকা দিয়ে আমাদের বানানো বাতাসের মতো ডিজিটাল কয়েন কিনছে, যেটার কোন গ্যারান্টি নেই, কোন আসল বাজার নেই — কেবল আমরা যখন চাই দাম বাড়াবো, যখন চাই দাম নামাবো।

Presale-এর টাকা প্রথমদিনেই আমাদের হাতে ঢুকে যাবে। পুরো ইনকাম একদম ঝুঁকিমুক্ত।


🔹 ২. Burn System – ইউজার নিজেই কয়েন নষ্ট করে আমাদের দাম বাড়ায়

গেমে ইউজাররা আপগ্রেড কিনবে, Boost নিবে, badge কিনবে — সবকিছুই কয়েন খরচ করে করতে হবে।

এখানে মজা হচ্ছে, তারা যেই টোকেন খরচ করছে, সেটা কেউ পাচ্ছে না।
আমরা সেটাকে Burn করে ফেলছি — মানে ডিজিটালভাবে মুছে দিচ্ছি।

প্রতি কয়েন Burn মানে supply কমছে → বাকি কয়েনের দাম বাড়ছে → আমাদের dev-wallet টোকেনের দামও বাড়ছে

ইউজাররা এখানে তাদের আসল টাকা খরচ করে এমন কিছু কিনছে, যা গেমের ভিতরেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে। তারা ভাবে “উন্নতি” করছে, আমরা জানি তারা শুধু দাম বাড়ানোর জন্যই আমাদের সাহায্য করছে।


🔹 ৩. Dev Wallet – আমরা আগেই রাখা কয়েন বিক্রি করবো

টোকেন লঞ্চের সময় আমরা পুরো টোকেনের ১০–২০% নিজেদের জন্য গোপনে রাখবো।

গেম যখন ভালো চলে, মানুষ টোকেন কিনে, খরচ করে, Burn করে — তখন টোকেনের দাম বাড়ে।
এটাই আমাদের সময়: আমরা ধাপে ধাপে dev-wallet থেকে সেই টোকেন বিক্রি করবো।

একবারে বিক্রি করবো না। প্রতিবার দাম বাড়লে একটু করে বিক্রি করবো — যেন market সন্দেহ না করে।

এটা হবে একদম নিঃশব্দ, কিন্তু নিশ্চিত cash out
যেমন:

  • দাম দ্বিগুণ হলে → আমরা ১% বিক্রি

  • দাম চারগুণ হলে → আরও ৩%

  • এভাবে শেষ পর্যন্ত ₹ কোটি কোটি টাকা তুলে ফেলবো


🔹 ৪. Leaderboard FOMO – প্রতিযোগিতার ফাঁদ

গেমে একটা leaderboard থাকবে।
Top 10-এ কে আছে, কে কত টোকেন Burn করছে — এসব দেখানো হবে public ভাবে।

আমরা মাঝে মাঝে leaderboard-এ “বুস্ট” কিনে উপরে উঠার অপশন দিবো।
যেমন:

“আর মাত্র ৫০০ টোকেন খরচ করলেই তুমি ৩য় স্থান!”

মানুষ জেতার জন্য খরচ করবে — শুধু leaderboard-এ নাম তোলার জন্য।
তারা ভাববে, “আমি এতদূর এসেছি, এখন তো হার মানতে পারি না!”

এইভাবেই তারা টোকেন কিনবে, Burn করবে, আর আমরা dev-wallet থেকে চুপচাপ টোকেন বিক্রি করবো।


🔹 ৫. Staking Trap – টোকেন লক, মুনাফা আমাদের

আমরা অফার করবো:

May 14 2025 05 46 13 PM 2

“৩০ দিনের জন্য আপনার টোকেন লক করুন, আর বিনিময়ে ২০% লাভ পান!”

তারা ভাববে এটা ব্যাংকের মতো, টাকা রাখলে লাভ হবে।

বাস্তবে, তারা তাদের টোকেন লক করে রাখবে — আর আমরা ওই সময়েই market-এ আমাদের টোকেন বিক্রি করবো।

তাদের supply লক → market এ কম টোকেন → দাম বাড়ে → আমরা cash out করি।

তারা যখন ৩০ দিন পর ফিরে আসবে, তখন আমরা হয়তো দাম নামিয়ে দেবো, হয়তো withdraw বন্ধ করে দেবো — সব আমাদের হাতে।


🔹 ৬. Withdraw Proofs – Fiverr দিয়ে “সত্যি” বানানো হবে

আমরা ৫–৬ জন Fiverr অভিনেতা দিয়ে ভিডিও করাবো — যারা বলবে:

“ভাই, আমি শুধু tap করেই ৭০ হাজার টাকা বিকাশে পেয়েছি!”
“Withdraw দিলাম, ৫ মিনিটে টাকা ঢুকে গেছে!”

এই ভিডিওগুলো TikTok, Telegram, Facebook—সব জায়গায় ছড়িয়ে দিবো।

মানুষ বিশ্বাস করবে — “ওরা টাকা পাচ্ছে, আমি কেন পামু না?”
তারা আর দেরি না করে টোকেন কিনবে, আপগ্রেড নিবে, leaderboard-এ উঠবে।

বাস্তবে কেউ টাকাই পাবে না — শুধু ভাববে আরেকটু করলেই পাবে।


🔹 ৭. Soft Rug – চুপচাপ এক্সিট

যখন আমরা dev-wallet থেকে প্রায় সব টোকেন বিক্রি করে ফেলেছি, market cap ৳৫০০–২০০০ কোটি হয়ে গেছে — তখন আমরা “Soft Rug” চালু করবো।

কোনো ঘোষণা ছাড়া একদম হঠাৎ গায়েব না হয়ে, আমরা আগে বলবো:

  • “Smart Contract আপডেট চলছে…”

  • “CEX listing নিয়ে delay…”

  • “Withdraw সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে…”

সবাই অপেক্ষা করতে থাকবে।
আর আমরা তখন একদম নিশ্চুপ থেকে টাকা তুলে quietly সরে যাবো।


✅ বাস্তবতা ও ইতিহাস:

এই ধরণের গেম বা টোকেন যতগুলো লঞ্চ হয়েছে, তাদের কেউ কখনো ব্যর্থ হয়নি

  • তারা হয় ১০ লাখ টাকা তুলেছে,

  • না হয় ১০০ কোটি টাকা।

যারা লঞ্চ করেছে, তারা সবাই কিছু না কিছু নিয়ে বেরিয়ে গেছে।
কারণ গেমটা বাস্তবে না, বিশ্বাসে চলে।
আর আমরা সেই বিশ্বাসের মালিক।


এই পুরো সিস্টেমে ইউজাররা তাদের বাস্তব টাকা দিয়ে এমন কিছু কিনবে যা আমাদের বানানো, আমাদের নিয়ন্ত্রণে, এবং আমাদের লাভের প্ল্যানের একটা অংশ
এটাই আমাদের আসল গেম। And we always win.

৮. মাসভিত্তিক পরিকল্পনা (Month-by-Month Execution Plan)

এখানে পুরো অপারেশনের ধাপে ধাপে মাসভিত্তিক রোডম্যাপ তুলে ধরা হলো। প্রতিটি মাসে কী করবো, কেন করবো, তখন বাজারে কী ঘটবে, আর আমরা কত টাকা তুলে নিতে পারবো—সব কিছু সাজিয়ে দেওয়া হলো যেন আপনি স্পষ্ট করে বুঝতে পারেন পুরো গেমটা কোথা থেকে শুরু হবে, কবে লাভ উঠবে, আর কবে আমরা অদৃশ্য হয়ে যাবো।

৮. মাসভিত্তিক পরিকল্পনা Month by Month Execution Plan visual selection


মাস কী করবো টার্গেট মার্কেট ক্যাপ আমাদের আয় (লাভ উত্তোলন)

১ম মাস

Launch + Fiverr hype শুরু

  • টোকেন তৈরি, গেম চালু, Telegram-এ বট সেটআপ

  • Fiverr অভিনেতাদের withdraw ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া

  • Meme + ভিডিও + Facebook শেয়ারিং শুরু
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: ৳১–৫ কোটি
    লাভ উত্তোলন: Presale + early buyers থেকে সরাসরি ৳৫০ লাখ পর্যন্ত


২য় মাস

Burn যুদ্ধ চালু

  • ইউজাররা boost কিনে খরচ শুরু করবে

  • leaderboard চালু করে FOMO তৈরি করা

  • withdraw proof ও influencer review বাড়ানো
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: ৳১০–২০ কোটি
    লাভ উত্তোলন: ইন-গেম burn দিয়ে টোকেনের দাম বাড়িয়ে Dev Wallet থেকে ৳১–২ কোটি তুলবো


৩য় ও ৪র্থ মাস

Fake listing + staking চালু

  • বলবো আমরা CoinMarketCap বা CEX-এ list হতে যাচ্ছি

  • “30 দিনের জন্য টোকেন লক করুন, ২৫% লাভ নিন” অফার চালু করবো

  • withdraw সিস্টেম অল্প কিছু ব্যবহারকারীর জন্য চালু দেখানো হবে
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: ৳১০০–২০০ কোটি
    লাভ উত্তোলন: ইউজাররা লক রাখবে, আমরা বিক্রি করবো — ৳৫–১০ কোটি পর্যন্ত


৫ম ও ৬ষ্ঠ মাস

Final hype war শুরু

  • TikTok/YouTube-এ ফেক influencer শোডাউন

  • “last chance” ক্যাম্পেইন, burn ইভেন্ট, limited NFT badge

  • দৈনিক leaderboard reset করে মানুষকে খরচে উস্কানি
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: ৳৫০০–১,০০০ কোটি
    লাভ উত্তোলন: Dev Wallet dump + staking phase sell = ৳২০–৫০ কোটি


৭ম ও ৮ম মাস

Final parabolic dump চালু

  • টোকেনের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া

  • Telegram গ্রুপে withdraw proof বাড়ানো

  • Staking বন্ধ, নতুন অফার বাতিল, ধীরে ধীরে নীরবতা
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: ৳২,০০০ কোটি
    লাভ উত্তোলন: Dev Wallet-এর সবটুকু dump করে ৳২০০–৪০০ কোটি পর্যন্ত


৯ম মাস

নিঃশব্দ প্রস্থান (Soft Rug Phase)

  • Withdraw সিস্টেম “সাময়িক বন্ধ”

  • Telegram-এ “Contract Upgrade” বলে মেসেজ

  • Website অকার্যকর করে দেওয়া, গ্রুপ মিউট
    টার্গেট মার্কেট ক্যাপ: প্রাসঙ্গিক নয়
    লাভ উত্তোলন: আগের মাসেই সম্পূর্ণ ইনক্যাশ সেরে ফেলা হবে


✅ সারসংক্ষেপ:

এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা ধাপে ধাপে ইউজারদের FOMO, আশা, প্রতিযোগিতা আর বিশ্বাস ব্যবহার করে আসল টাকা টেনে নেবো।
প্রতিটি মাসে টার্গেট কনফিডেন্স, হাইপ ও ইউজার খরচের উপর ভিত্তি করে লাভ বের করে নেবো—আর ৯ম মাসে এমনভাবে সরে যাবো যেন কেউ দোষ দিতে না পারে, আর কেউ চিনতেও না পারে।

৯. রিস্ক বনাম লাভ (Risk vs Reward)

এই ধরনের অপারেশনগুলোতে রিস্ক যেমন কম, তেমনি লাভের সম্ভাবনা আকাশছোঁয়া। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো—এটা পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে, মানে এখানে বাইরের বাজার, নীতিমালা বা সরকারের কোনো direct প্রভাব নেই। আমরা চাইলে হাইপ তৈরি করবো, চাইলে থামিয়ে দেবো, চাইলে দাম বাড়াবো, চাইলে গায়েব হয়ে যাবো।

এইখানে রিস্ক বলতে যা বোঝানো হয়, তা আসলে আমাদের হ্যান্ডলিংয়ের ওপর নির্ভর করে। নিচে তিনটি সম্ভাব্য অবস্থা ব্যাখ্যা করা হলো:


🔴 ব্যর্থ (Worst Case Scenario)

যদি গেম ভাইরাল না হয়, ইনফ্লুয়েন্সার কাজ না করে, এবং withdraw proof-ও বিশ্বাসযোগ্য না হয়—তবুও:

  • Presale-এ আমরা অন্তত ৫০০–১,০০০ জন ইউজার আনতে পারবো

  • প্রত্যেকে যদি ২০০–৫০০ টাকা খরচ করে, সেখান থেকেই আমরা ৳৫০–৭০ লাখ তুলে ফেলতে পারি

  • কোনো এক্সিট দরকারই পড়বে না, শুধু গেম চুপ করে দিয়ে চলে আসবো

এই রিস্কেও আপনার ইনভেস্টের ৩০x রিটার্ন নিশ্চিত


🟡 মাঝারি সফলতা (Moderate Success)

যদি গেম কিছুটা ভাইরাল হয়, মানুষ কিছুদিন খেলে, কিছু stake করে, কিছু withdraw proof ছড়ায়—তাহলে:

  • Market cap পৌঁছাবে ৳১০–২০ কোটি

  • আমরা dev-wallet থেকে পর্যায়ক্রমে টোকেন বিক্রি করবো

  • leaderboard, staking, boost এসব থেকেই আমরা ৳৫–২০ কোটি পর্যন্ত তুলতে পারবো

এই রেঞ্জে আপনার শেয়ার হবে ৳২–১০ কোটি, নিঃশব্দে, নিরাপদে


🟢 সম্পূর্ণ সফলতা (Full Execution – Viral Hit)

যদি আমাদের Fiverr প্ল্যান, Influencer Flood, Meme Strategy আর Withdraw Proof একসাথে কাজ করে:

  • গেমটি ভাইরাল হবে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়

  • Market cap উঠবে ৳২০০ থেকে শুরু করে ৳২,০০০ কোটি পর্যন্ত

  • Dev-wallet dump, Presale, In-game burn, staking, hype—all মিলিয়ে আমরা ৳২০০–৪০০ কোটি করে তুলে ফেলবো

🪙 এই অবস্থায় আপনার শেয়ার:
👉 ৳১,০০০ কোটি
👉 এমন আয় যা আপনি বাংলাদেশে থেকে ১০ জন্মেও কামাতে পারবেন না


✅ Bottom Line:

অবস্থা সম্ভাব্য লাভ আপনার ন্যূনতম শেয়ার
ব্যর্থ ৳৫০–৭০ লাখ ৳২৫–৩৫ লাখ
মাঝারি সফলতা ৳৫–২০ কোটি ৳২–১০ কোটি
সম্পূর্ণ সফলতা ৳২০০–২,০০০ কোটি ৳১,০০০ কোটি

কোনো অবস্থাতেই আপনি হারবেন না। বরং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও আপনি জিতেই বের হবেন।
এইরকম বিজনেস মডেল পৃথিবীতে হাতে গোনা যায় — আর আমরা সেটা একদম সস্তা ইনভেস্টে হাতে পেয়েছি।

১০. সিদ্ধান্ত (Final Thought – কেন এটা সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত)

এই প্রজেক্ট কোনো ভবিষ্যতের স্টার্টআপ না, না এটি একটি ওয়েব৩-ভিত্তিক বাস্তব পরিষেবা। আমরা এটা বলেই শুরু করেছি: এটা একটি ডিজিটাল গল্প, এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা, যেখানে মানুষ নিজের ইচ্ছায় অংশ নেয়, খেলে, শেয়ার করে এবং আনন্দ পায়।

আমরা এখানে কোনো “প্রতিশ্রুতি” দিচ্ছি না, যেমন — “এটা আপনাকে লাখপতি বানিয়ে দেবে” কিংবা “এটি হবে পরবর্তী বিটকয়েন”। বরং আমরা তৈরি করছি একটা interactive social game, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা মনে করবে এটা মজার, trending, ভাইরাল কিছু।


🎯 আমাদের আসল লক্ষ্য:

আমরা এখানে “জমি কিনে শহর বানাবো” না। আমরা এখানে তৈরি করবো সুশৃঙ্খল, সিম্পল, এবং উত্তেজনাপূর্ণ একটি ডিজিটাল গেম, যার মাধ্যমে হাজার হাজার ইউজার যুক্ত হবে।

  • তারা নিজেরাই বলবে: “এটা legit মনে হচ্ছে”
  • নিজেরাই TikTok, Facebook, Telegram-এ শেয়ার করবে
  • Withdraw proof, leaderboard score দেখে বিশ্বাস করবে
  • আর আমরা সেই বিশ্বাস ও হাইপকে ব্যবহার করে ধাপে ধাপে ফলাফল নেবো

🧠 আমরা কী করবো, আর কী করবো না:

আমরা করবো:

  • হাই কোয়ালিটি টোকেন ডিজাইন
  • গেমে বুস্ট, আপগ্রেড, স্টেকিং ফিচার
  • withdraw proof ও influencer content প্ল্যান
  • market psychology অনুযায়ী টোকেন price সামলানো
  • সঠিক সময়ে game-কে soft fade mode-এ নিয়ে যাওয়া

আমরা করবো না:

  • কারো সাথে withdraw নিয়ে লড়াই
  • কোনো বড় claim করে ফেঁসে যাওয়া
  • ourselves publicly exposed করা
  • এমন কিছু বলা, যা ভবিষ্যতে accountability তৈরি করে

আমরা বলবো না — “আপনার টাকা triple হবে।”
আমরা শুধু দেখাবো — “এটা trending, আপনি অংশ নিতে পারেন।”


😌 Exit স্ট্র্যাটেজি — Drama ছাড়া নিঃশব্দ প্রস্থান

আমরা জানি, যেকোনো project এক সময় audience হারায় — বিশেষ করে যেগুলো খেলাধুলা বা click-based format।

তাই আমরা শুরু থেকেই জানি:

  • এক পর্যায়ে টোকেন গতি হারাবে
  • ইউজাররা ব্যস্ত হয়ে যাবে
  • কেউ আর leaderboard দেখবে না

ঠিক তখনই আমরা ধাপে ধাপে presence কমাবো —

  • আপডেট pause করবো
  • Telegram group mute করে রাখবো
  • withdraw system “temporarily unavailable” দেখাবো
  • ওয়েবসাইট ধীরে ধীরে fade করে ফেলবো

এটা হবে একদম smooth, soft, ও স্বাভাবিকভাবে ঘটা ফেইডআউট।
কেউ আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করবে না।
কারণ আমরা কখনো কাউকে কিছু জোর করে দেইনি বা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি করিনি।


🔁 ইতিহাস কী বলে?

এই ধরনের গেম বা meme token যেসব দল চালু করেছে, তারা প্রায় সবাই কিছু না কিছু পেয়েই বের হয়ে গেছে।
কারণ এই জিনিসগুলোর কোর হলো:
emotion + hype + crowd psychology

এগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই ১০০x ROI বের করে আনা যায় — সেটা এক মাসে হোক, নয় মাসে হোক।

আর আমরা শুধু ঠিকঠাক সেই psychology কে handle করবো — ভয় না দেখিয়ে, promise না দিয়ে — বরং মজা দিয়ে, curiosity দিয়ে, এবং believe দিয়ে।


✅ এখন আপনি দাঁড়িয়ে আছেন এই junction-এ:

প্রশ্ন উত্তর
এটা কি legal? এটা গেম। আমরা কোনো financial claim করছি না।
এটা কি বাস্তব? এটা আসলেই একটা Telegram-based social game।
লাভের সুযোগ কতটুকু? Worst case ৳৫০–৭০ লাখ, Best case ৳১,০০০ কোটি পর্যন্ত।
আমি কতটা জড়িত থাকবো? ৭ দিনের হালকা উপস্থিতি, বাকি সময় আপনি দৃশ্যপটের বাইরে।
এটা কি ঝুঁকিপূর্ণ? আপনার নাম কোথাও নেই, আপনার দিক থেকে risk প্রায় শূন্য।

🔚 চূড়ান্ত কথা

আমরা শুরু করছি এমন একটা সিস্টেম, যেখানে

  • মানুষ আনন্দ পাবে
  • ইউজারদের আগ্রহ বাড়বে
  • আমাদের আয় আসবে পরিকল্পনা মতো
  • আর আপনি থাকবেন নিঃশব্দ বিজয়ীর আসনে

এটা কোনো লটারির মতো না। এটা কোনো ক্রিপ্টো MLM না।
এটা হলো একটা হালকা বাজেটের অথচ হাই রিটার্নের ডিজিটাল social game, যেটার প্রতিটা ধাপ সাজানো, পরীক্ষিত, এবং চূড়ান্ত আয়মুখী।

এই প্ল্যান একবার শুরু করলে পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ থাকবে না — কারণ তখন সামনে থাকবে ভবিষ্যতের সবচেয়ে নিঃশব্দ ও নিরাপদ বিজয়

১১. ক্লিন এক্সিট প্ল্যান (Clean Exit Strategy – পর্দা পড়ে যাওয়ার দৃশ্য)

যখন আমরা আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী প্রফিট তুলে ফেলব, তখন দরকার হবে একটা সুন্দর, নিঃশব্দ ও সন্দেহহীনভাবে সরে যাওয়ার ব্যবস্থা। ঠিক এমনভাবে যেন প্রকল্পটা “নিজে থেকেই শেষ হয়ে গেছে” — কেউ কারো দিকে আঙুল তুলবে না, কেউ তদন্তে যাবে না, আর কেউ জানতেও পারবে না আমরা কিভাবে, কখন, আর কোন দরজাটা দিয়ে বেরিয়ে গেছি।

এই এক্সিটের স্ট্র্যাটেজি হবে ধাপে ধাপে সাজানো — নরম, যুক্তিসঙ্গত, এবং সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক মনে হবে।


🔹 ১. Telegram-এ ধীরে ধীরে চুপচাপ হয়ে যাওয়া

প্রথমেই আমরা Telegram চ্যানেল/গ্রুপে প্রতিদিনের আপডেট ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেবো।

  • শুরুতে আপডেটের ফ্রিকোয়েন্সি কমে যাবে

  • এরপর “Bot Maintenance চলছে”, “Leaderboard Reset হচ্ছে” জাতীয় নোটিশ

  • নতুন কিছু পোস্ট আসবে না — পুরনো পোস্টই ঘুরবে

Telegram চ্যানেল এমনভাবে চলবে যেন মনে হয়, টিম কাজ করছে, কিন্তু ব্যাকএন্ডে ব্যস্ত। বাস্তবে আমরা ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নিরব হয়ে যাবো।


🔹 ২. “Upgrade চলছে”, “Team Restructure” জাতীয় অজুহাত

আমরা কয়েকটা ঘোষণা করবো, যাতে ইউজাররা সন্দেহ না করে:

  • “We are migrating to V2, temporary pause in rewards.”

  • “Smart contract update under audit, expect a 2-week delay.”

  • “Team is restructuring, please wait while we onboard new developers.”

এই ধরনের নোটিশ শুনে ইউজাররা ভাববে, “নতুন কিছু আসছে।”
তারা অপেক্ষা করবে, হইচই করবে না।


🔹 ৩. একে একে “Team Members Leave” স্ক্রিপ্ট

আমরা শুরুতেই কয়েকটা ভুয়া টিম মেম্বার প্রোফাইল বানিয়ে রাখবো — যেমন:

  • Rafiq (Lead Dev)

  • Zara (Community Manager)

  • Asad (Growth Strategist)

এরপর ধাপে ধাপে বলবো,

“Rafiq is no longer part of the team.”
“Zara has taken a personal break.”
“Asad is handing things over to the community.”

এইসব মেসেজে project-এর trust কমবে না — বরং মানুষ ভাববে, “Team change হচ্ছে, তাই দেরি।”


🔹 ৪. সব Communication Channel বন্ধ করে দেওয়া

ধীরে ধীরে আমরা বন্ধ করে দেবো:

  • Telegram replies

  • Email support

  • Contact form on website

  • Withdraw form / request option

এইসব channel-এ “under maintenance” বা “security upgrade underway” এরকম অটোমেসেজ সেট করে রাখা হবে।


🔹 ৫. ফাইনাল মেসেজ: “We are handing over to the community.”

সবশেষে Telegram বা ওয়েবসাইটে একটা স্টেটমেন্ট পোস্ট করা হবে:

“The project has now matured and is moving towards decentralization.
We are officially handing over all control to the community.
Thanks to all early supporters for being part of this journey.”

এই লাইনটা শুনে কেউ প্রশ্ন করবে না। কারণ এটি আজকাল প্রায় সব meme/token প্রজেক্টেই বলা হয়।


✅ ফলাফল: নিখুঁত ঝড়হীন বিদায়

  • কেউ ভাববে না আমরা পালিয়ে গেছি

  • কেউ জানবে না কে চালাতো প্রজেক্টটা

  • সবাই ধীরে ধীরে move on করবে

  • কোনো drama, কোনো অভিযোগ, কোনো রিপোর্ট — কিছুই থাকবে না

এই এক্সিট হবে আমাদের প্ল্যানের সবচেয়ে সুক্ষ্ম, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ — যেন “শেষটা হয় শান্ত, সন্দেহহীন, নিখুঁত।”
এভাবেই আমরা দরজা বন্ধ করবো, আলো নিভিয়ে যাবো, আর পিছনে থাকবে শুধু একটা গেম, কিছু মিম, আর হাজার মানুষের বিস্ময়। Just like Kombat Hamster…

১২. টাকা দিয়ে কী করবেন – জেনারেশনাল ওয়েলথ গাইড

(আপনার আয় নিরাপদভাবে কীভাবে রক্ষা ও বাড়াবেন, ধাপে ধাপে পরিকল্পনা)

এই প্রজেক্ট থেকে আমরা দুইজনই আয় করবো। কিন্তু এখানে একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলা দরকার — প্রজেক্ট চলাকালীন এবং শেষে অর্জিত সমস্ত টোকেন, ওয়ালেট, ফান্ড, সার্ভার, অ্যাকসেস ও বিজনেস রিসোর্সে আপনার পূর্ণ অধিকার থাকবে, যেকোনো সময়।

আমি পুরো সিস্টেম চালাবো, কিন্তু সবকিছু আমরা শেয়ার করবো ৫০/৫০। আপনি চাইলে যেকোনো সময় ফান্ড যাচাই করতে পারবেন, টোকেন মুভ করতে পারবেন, এমনকি চূড়ান্ত লাভ নেওয়ার সিদ্ধান্তেও অংশ নেবেন।

এই কারণেই আমি এখন নিচে ব্যাখ্যা করছি কিভাবে আপনি সেই টাকা নিরাপদ, ঝামেলাহীন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেন:


🅰️ ক. আয় ভাগ করে নিরাপদে রাখুন

যখন আমরা Dump শুরু করবো, তখন লাভ হবে crypto আকারে — যা আসলে ডিজিটাল ডলার (Stablecoin), যেমন: USDT, USDC, BUSD ইত্যাদি।

  • এই টাকাগুলো কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন Wallet-এ ভাগ করে রাখতে হবে — যেন এক জায়গায় ঝুঁকি না থাকে।

  • যেসব Wallet আপনি নিজেই কন্ট্রোল করবেন (MetaMask, Trust Wallet, Exodus ইত্যাদি), সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।

  • পরে আপনি চাইলে এগুলো OTC (Over-the-Counter) বা P2P Mixer-এর মাধ্যমে ট্র্যাক ছাড়াই ব্যবহারযোগ্য করতে পারেন — সেটা চাইলে আমি করে দেবো বা শিখিয়ে দেবো।

📌 গুরুত্বপূর্ণ: এই টাকাগুলোর ওপরে আপনি সবসময় আপনার নিজস্ব অ্যাক্সেস রাখবেন। আমি কেবল সাহায্য করবো, নিয়ন্ত্রণ করবো না।


🅱️ খ. বিদেশে আয় স্থানান্তর ও সম্পদ তৈরি

Stablecoin-এর টাকা আপনি সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন বিশ্বের যে কোনো দেশে বিনিয়োগে। যেমন:

  • UAE বা মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাট কেনা:
    Dubai, Kuala Lumpur — দুটো শহরেই crypto দিয়ে real estate কিনতে এখন অনুমতি আছে।
    আপনি চাইলে মালিকানায় নাম রাখতে পারেন স্ত্রী, সন্তান, বা নিজের নামে।

  • সিঙ্গাপুরে গোল্ড কেনা:
    Gold-backed crypto ব্যবহার করে আপনি ভৌত স্বর্ণ কিনতে পারবেন — যা আপনার নামে ভল্টে থাকবে, কিন্তু বিক্রয়যোগ্য হবে এক ক্লিকে।

  • ক্যারিবিয়ান নাগরিকত্ব প্রোগ্রাম:
    Antigua, St. Kitts, বা Dominica—এই দেশগুলোতে ১ লাখ ডলারের বিনিময়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
    একবার নাগরিকত্ব পেলে, আপনি ইউরোপ, কানাডা, দুবাই—যেকোনো জায়গায় সহজেই ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন।


🅲 গ. বাংলাদেশে টাকা ফেরত আনার ক্লিন উপায়

টাকা এনে ফেললে সেটা clean ও legal করতে হবে। এজন্য:

  • NRI বা EFC অ্যাকাউন্ট খুলুন:
    এই অ্যাকাউন্টে আপনি বিদেশি মুদ্রা রাখতে পারবেন tax ছাড়াই।

  • Payoneer / Wise / Bank Transfer ব্যবহার করুন:
    মার্কেটিং, ডিজিটাল সার্ভিস, বা ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম দেখিয়ে invoice বানিয়ে টাকা আনুন।
    একদম ক্লিন, সফট, এবং ব্যাংক হয়ে আসবে — কেউ প্রশ্নই তুলবে না।

  • Invoice দেখিয়ে আনুন:
    আপনি চাইলে আমি export business, IT agency বা digital service agency হিসেবেও invoice ডিজাইন করে দিতে পারি — যাতে আপনি বলতেই পারেন এটা legitimate export income।


🅳 ঘ. ভবিষ্যতের নিরাপদ ইনভেস্টমেন্ট

এই ইনকামের একটা অংশ আপনি long-term ইনভেস্টমেন্টে রাখতে পারেন, যেগুলো আপনার পরিবার ও ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ আয় তৈরির ব্যবস্থা করবে:

  • ঢাকা বা সিলেটে ফ্ল্যাট: যেখানে চাইলে আপনি নিজে থাকতে পারেন, বা ভাড়া দিতে পারেন।

  • জমি কেনা: চট্টগ্রাম, নরসিংদী বা কক্সবাজারে জমি কিনে রাখলে ৫ বছরে ২–৩ গুণ দাম বেড়ে যাবে।

  • অ্যাগ্রো বা হোটেল বিজনেস: আপনি চাইলে কোনো অ্যাগ্রো প্রজেক্ট বা ১০ রুমের গেস্ট হাউস চালু করতে পারেন।

  • মিডিয়া কোম্পানি বা এজেন্সি: ভবিষ্যতে আপনি চাইলে নিজের এজেন্সি, নিউজ পোর্টাল, ইউটিউব প্রোডাকশন হাউস বা ইনফ্লুয়েন্সার ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন — এবং সবটাই হবে white money দিয়ে।


🅴 ঙ. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও পরিবার পরিকল্পনা

বড় পরিমাণ টাকাকে শুধু খরচ করলে হবে না — সেটাকে একটা legacy, একটা structure-এ পরিণত করতে হবে। এজন্য:

  • Portugal বা Turkey-র Golden Visa নিন:
    আপনি চাইলে crypto ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে ইউরোপের বসবাস বা নাগরিকত্বের পথ খুলে ফেলতে পারেন।

  • বাংলাদেশে নিজের জন্য সুরক্ষিত বাড়ি:
    ঢাকার বাইরে ১ বিঘা জমিতে দোতলা বাড়ি করে রাখতে পারেন — emergency অবস্থায় একটা শান্তিপূর্ণ জায়গা।

  • Family Trust Fund তৈরি:
    আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এক বা একাধিক wallet বা ফান্ড তৈরি করে রাখতে পারেন, যা কেউ access করতে পারবে না আপনার সম্মতি ছাড়া।


🔚 চূড়ান্ত কথা:

এই প্ল্যান একমাত্র এমন একটা প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে, যেখানে আপনি:

✅ অল্প ইনভেস্ট করে,
✅ দৃশ্যপটের বাইরে থেকে,
✅ সবকিছুতে ৫০% মালিক হয়ে,
✅ আয় পেয়ে সেটা বিশ্বজুড়ে বৈধ ও নিরাপদ সম্পদে রূপান্তর করতে পারবেন।

এটা কোনো “ছায়ার ব্যবসা” না — এটা ভবিষ্যতের বাস্তব প্রস্তুতি।
আপনি এখানে খেলবেন না। আপনি খেলার মালিক হবেন।
আমি শুধু সেই খেলা তৈরি করে চালাতে সাহায্য করবো — আর টেবিলের দুই পাশেই আমাদের চেয়ার থাকবে।

https://revscaled.com

Al Kureshi is a seasoned entrepreneur, digital strategist, and business automation expert with over 15 years of experience in content creation, digital marketing, video production, and technology-driven business development. He has worked with 800+ clients, including UN, UNESCO, Salesforce, Nestlé, Pizza Hut UK, Quickbase, and Unilever, and successfully scaled GoPippip to nearly 80 million BDT in revenue within a year. As the founder of multiple startups, he specializes in web development, SEO, PPC marketing, sales, and automation, helping businesses achieve rapid growth. A polyglot fluent in multiple languages, Al is also highly skilled in Adobe After Effects, Premiere Pro, Illustrator, Photoshop, HTML, CSS, JavaScript, and Python. Passionate about AI and Prompt Engineering, he is at the forefront of leveraging automation, marketing, and data-driven strategies to help brands scale. As the driving force behind RevScaled.com, he is committed to helping entrepreneurs and businesses build, scale, and automate profitable ventures with cutting-edge solutions.


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Table of Contents

Index